বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯ অপরাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন গৌরনদীতে ইউএনওর নেতৃত্বে স্বেচ্ছাশ্রমে খালের কুচুরিপানা ও ময়লা পরিস্কার করল বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা বর্নাঢ্য র‌্যালি ও আলোচনা সভার মধ্যদিয়ে গৌরনদীতে জাতীয় সমবায় দিবস পালিত আমাদের নেতা তারেক রহমান একটি সাম্যের বাংলাদেশ গড়তে চান-জহির উদ্দিন স্বপন মেয়র হারিছ গ্রেপ্তারের খবরে গৌরনদীতে সাধারন মানুষের উল্লাস ফাঁসির দাবিতে বিএনপির বিক্ষাভ মিছিল গৌরনদীতে এইচপিভি টিকা দান ক্যাম্পেইনের শুভ উদ্বোধন কাশিপুরের ড্রেজার ব্যবসায়ী সুমনের অপকর্মে কেউ খুন হলে দায় নেবে না বিএনপি
নানা ত্রুটির কারণে ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে বেশিরভাগ মাদক মামলার আসামি

নানা ত্রুটির কারণে ছাড়া পেয়ে যাচ্ছে বেশিরভাগ মাদক মামলার আসামি

দখিনের খবর ডেক্স ॥ সারাদেশে চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে হাজার হাজার মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবী আটক হচ্ছে, যাদের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় দায়ের করা হচ্ছে মামলা। শুধু সমসাময়িক এসব ঘটনাই নয়, অন্যান্য সময়ে দায়েরকৃত বেশিরভাগ মাদক মামলাতেও নানা ধরণের ত্রুটির কারণে আসামিরা খালাস পেয়ে যাচ্ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সর্বশেষ বার্ষিক প্রতিবেদনের সূত্র অনুযায়ী, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দায়ের হওয়া মামলায় গত বছর ৬০ শতাংশ আসামি ছাড়া পেয়েছেন। বিভিন্ন আদালতে এখনো বিচারের জন্য অপেক্ষাধীন মামলার সংখ্যা প্রায় ৫০ হাজার। তবে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর আসামি খালাস হওয়ার পেছনে তাদের দুর্বল আইন শাখাকে দায়ী করেছে। অধিদপ্তর বলছে, ৫০০টি আদালতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলা আছে। কিন্তু সরকারপক্ষে কৌঁসুলি আছেন ১২ জন আর সহকারী কৌঁসুলির সংখ্যা ৩৭। গত ৫ বছরে গ্রেপ্তার ও মামলা দায়েরের সংখ্যা বাড়লেও শুধু আইনি লড়াইয়ে হেরে যাওয়ায় প্রতিবছর খালাস পাওয়া আসামির হারও বেড়েছে। জানা গেছে, ২০১১-২০১৭ সাল পর্যন্ত সাত বছরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ২০ হাজার ৩৪৯টি মামলা নিষ্পত্তি করেন দেশের বিভিন্ন আদালত। এসব মামলার আসামি ছিল ২২ হাজার ৩৫১ জন। এর মধ্যে ৯ হাজার ৯৫২টি মামলায় ১১ হাজার ৬৩৪ জন আসামি খালাস পেয়েছে, যা মোট মামলার ৫২ শতাংশের বেশি আসামি। এদিকে, ২০১৩ সালে ৪৬ শতাংশ আসামি ছাড়া পেলেও গত বছর এই হার বেড়ে হয়েছে ৬০ শতাংশ। গত ৫ বছরের মধ্যে ২০১৭ সালে মামলা হয়েছে সবচেয়ে বেশি, ১ লাখ ৬ হাজার ৫৪৬টি। গ্রেপ্তার হন ১ লাখ ৩২ হাজার ৮৯৩ জন। ২০১৬ সালের তুলনায় গত বছর মামলার সংখ্যা প্রায় ৩৭ হাজার বেশি ছিল। এদিকে, পুলিশের করা মামলার ক্ষেত্রে গত বছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর তিন মাসের একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, প্রায় ৬৪ ভাগ আসামি খালাস পেয়েছে। প্রচলিত আইনে মাদকের উপাদান ও পরিমাণ অনুযায়ী মাদক মামলায় সর্বনিম্ন ৬ মাস থেকে সর্বোচ্চ মৃত্যুদ- পর্যন্ত সাজার বিধান রয়েছে। তার পরও মাদকসহ হাতেনাতে গ্রেফতার হওয়া মাদক মামলার আসামিরা খালাস পেয়ে ফিরছে একই ব্যবসায়। এদিকে, মাদক মামলায় আসামিদের খালাস পাওয়ার আটটি কারণ চিহ্নিত করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এগুলো হলো- ত্রুটিপূর্ণ এজাহার দাখিল, মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা একই ব্যক্তি হওয়া, জব্দ তালিকায় বর্ণিত স্থানীয় সাক্ষীদের সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীদের বক্তব্যে অমিল, জব্দ তালিকায় উল্লিখিত সাক্ষী ও অন্যান্য সাক্ষী আদালতে হাজির করতে ব্যর্থতা, উপযুক্ত, নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য সাক্ষী উপস্থাপনে ব্যর্থতা, মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তার সাক্ষ্য না দেওয়া, আইনের বিধান অনুযায়ী জব্দ তালিকা তৈরি না করা এবং মামলার বাদী ও অভিযানকারী দলের সদস্যদের বক্তব্যে অমিল। এসব কারণ উল্লেখ করে সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগে চিঠিও পাঠিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। মাদক মামলা করা ও তদন্তে ত্রুটি-বিচ্যুতির কারণে আসামিরা খালাস পেয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অনুসন্ধানে। কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের অভাবই এর পেছনে প্রধান কারণ। মামলায় সফলতা অর্জনের মৌলিক প্রশিক্ষণ নেই তাদের। অধিদপ্তরটির মহাপরিচালক জামাল উদ্দীন আহমেদ বলেন, আসামি খালাসের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে এ বছর কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সক্ষমতা বাড়াতে কর্মকর্তাদের বিদেশেও পাঠানো হচ্ছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে গণমাধ্যমকে বলেন, তাঁরা আসামি গ্রেপ্তার করলেও ধরে রাখতে পারছেন না। বিশেষ করে রাঘববোয়াল ধরনের আসামি হলে তো কথাই নেই। বড় আইনজীবীরা আদালতে তাঁদের পক্ষে দাঁড়িয়ে যান। তিনি আরও বলেন, কৌঁসুলিরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পান। তাঁরা দক্ষতায় আসামিপক্ষের আইনজীবীদের থেকে পিছিয়ে থাকেন, অনেকের মামলা জেতায় খুব একটা আগ্রহও দেখা যায় না।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com